ঢাকার নবাবগঞ্জে অবৈধ সম্পর্কের জেরে রাকিব(১৯) নামের এক অটোরিক্সা চালককে খুনের ঘটনায় জড়িত ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহত রাকিব উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের মোক্তার হোসেনের ছেলে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- আগলা ইউনিয়নের আগলা পোষ্ট অফিস এলাকার মো. আনিছের ছেলে ইয়াসিন(২১) ও কৈলাইল ইউনিয়নের মেলেং গ্রামের মো. শহিদের ছেলে আ. রহমান আশরাফুল(১৮)। শনিবার দুপুরে হত্যাকা-ের বিষয়ে দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম নবাবগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম জানান,গত ১৫ জানুয়ারি সকালে রাকিব অটোরিক্সা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে রাকিবের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে রাকিব বাড়িতে ফিরে না এলে তার পরিবারের সদস্যরা আশেপাশের এলাকায় ও আত্মীয়-স্বজনের বাসায় খোজাঁখুজি করে রাকিবকে না পেয়ে ১৬ জানুয়ারি রাকিবের বড় ভাই রবিউলহোসেন নবাবগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই আ. রহমান তদন্তভার গ্রহণ করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও স্থানীয় তদন্তে নিখোঁজ ভিকটিম রাকিবের সাথে সর্বশেষ সন্ধিগ্ধ ইয়াসিনকে দেখা গিয়েছে বলে জানা যায়। রাকিবের সাথে থাকা ইয়াসিন নামের সেই যুবককে আটক করলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াসিন জানায়, তার মামাতো ভাই আ. রহমানসহ পরস্পর যোগসাজোশে গত ১৫ জানুয়ারি সকালে আগলা পূর্বপাড়া সুবেদ আলী টিপুর মৎস খামারের পূর্ব-দক্ষিণ কোনায় ডোবার পাড়ে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রাকিবকে হত্যা করে এবং লাশ গুম করতে মৎস খামারের দক্ষিণ পার্শ্বে ডোবার মধ্যে কচুরিপানার নিচে লাশ লুকিয়ে রাখে। ইয়াসিনের দেয়া তথ্য মতে এবং দেখানো মতে পুলিশ ভিকটিম রাকিবের আংশিক গলিত লাশ উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থলের সাথে ঝোপের আড়াল হতে ভিকটিমের পরনের ১ টি লাল রঙের জ্যাকেট উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় রাকিবের বড় ভাই রবিউল হোসেন বাদি হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।(মামলা নং- ১১, তারিখ : ১৮/ ০১/২০২৫ইং) পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াসিন পুলিশকে জানায় তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের সাথে অবৈধ সম্পর্কে ছিল রাকিবের। বিষয়টি নিয়ে ইয়াসিনের সাথে রাকিবের একাধিকবার বাকবিতন্ডা হয়। এ ঘটনার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাকিবকে হত্যা করে লাশ গুম করে। নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে আরও কেউ সম্পৃক্ত আছে কিনা তা জানতে রিমান্ড আবেদন করে শনিবার আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।