মো. জাকির হোসেন : ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হামলায় দৈনিক আমাদের সময়ের দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেল ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক নাজমুল হোসেন অন্তর গুরুতর আহতের ঘটনার ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম নবাবগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আটককৃতরা হলো- নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী এলাকার মামুন সিদ্দা ওরফে বুদুর ছেলে চপল সিদ্দা (২৫), একই এলাকার ওহাব মিয়ার ছেলে সোলাইমান ওরফে শুভ ওরফে বুলু ও অন্যতম আসামি হাসনাবাদ এলাকার তফিল উদ্দিনের ছেলে মো. এখতিয়ার ওরফে আক্তার হোসেন(৪৫)। প্রেস ব্রিফিংয়ে দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম জানান, গত শনিবার রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে সাংবাদিক নাজমুল হোসেন অন্তর মোটরসাইকেলযোগে দোহার উপজেলার একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে নিজ বাড়ি নবাবগঞ্জ উপজেলার খানেপুর গ্রামে যাওয়ার পথিমধ্যে ডাকাতবাড়ি রাহুতহাটি নামক সেতুর উপরে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে হাতে, পায়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নাজমুলের বাবা মো. মানিক বেপারী নবাবগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার প্রায় ১৫-১৬ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ চপল সিদ্দাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে চপল সিদ্দারের তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড মো. এখতিয়ার ওরফে আক্তার হোসেনসহ আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয় ও আসামির কাছ থেকে এ ঘটনার সময় ব্যবহৃত একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দোহার-নবাবগঞ্জ থানায় একাধিক ডাকাতির মামলাসহ মাদক মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আসামিদের কাছ থেকে জানা গেছে, সাংবাদিক নাজমুল হোসেন অন্তরের কাছে মাদকের তথ্য আছে, সে মাদকের বিরুদ্ধে নিউজ করতে পারে। এমন তথ্য পেয়ে ভয়ে আসামি মাদক ব্যবসায়ীরা সাংবাদিক নাজমুল হোসেন অন্তরকে শায়েস্তা করার জন্য ও তার মোবাইল ফোনটি নেওয়ার জন্য তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ বিষয়ে দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম আরো জানান, আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।