প্রতিবেদক, পেকুয়া : কক্সবাজারের পেকুয়ায় অগ্নিকাণ্ডে বিধবা মহিলার বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। এতে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবা। ২৩ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পূর্ব সরকারি ঘোনা এলাকার মৃত- শফিউল আলম এর বসতঘরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ঘরের লোকজন মাগরিবের নামাজ আদায় করার সময় ঘরের পিছনে আগুন জ্বলে উঠে মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যেই পুরো টিন সেট বেড়ার ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ও পেকুয়া ফায়ার সার্ভিসে সংবাত দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও নগদ টাকাসহ সবকিছু পুড়ে যায়। তারা খোলা আকাশের নিচে তীব্র শীতে পরিবার নিয়ে জীবনযাপন করছে। ভুক্তভোগী রাহেলা বেগম বলেন, আমার ঘর এমনে পুড়ে নাই। আমার দেবর হাফেজ ইব্রাহিম পরিকল্পিত ভাবে মাগরিবের নামাজ পরার সময় ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়। আমিও আমার পুত্রবধুরা কোন কিছু ঘর থেকে বের করতে পারে নাই। এমনকি ঘরে রক্ষিত নগদ টাকা এবং আসবাবপত্রও বের করতে পারি নাই। আমাদের এখন কিছুই নেই। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি আরো বলেন স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে হাফেজ ইব্রাহিম আমাদের নির্যাতন করে আসছে। আমরা ঘর নিমার্ণ করতে চাইলে সে বাধা প্রদান করে এবং থানায় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সে আমাদের উচ্ছেদ করতে চাইছে এবং মাথা গোঁজাঠাঁইটুকু জবরদখলে নিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয়রা জানায়, আমরা আগুন দেখতে পেয়ে দৌড়ে আসি এবং তখন ইব্রাহিম রাস্তা দিয়ে দ্রুত হেটে পালাচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসা করলে কিছু না বলে চলে যায়। অভিযোগের বিষয়ের জানতে ইব্রাহিমের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মুঠোফোনে কল দিলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে সহযোগিতা প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়েছি। তবে কেউ যদি পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা করে থাকে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।